তথ্য প্রযুক্তির যুগান্তকারী উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এবং বর্তমান প্রজন্মের চাহিদার প্রেক্ষিতে ভার্চ্যুয়াল জগত নির্ভর এই প্রথম একটি রাজনৈতিক দলের অভ্যুদ্যোয় হলো বাংলার মাটিতে " বাংলাদেশ সু-শাসন আন্দোলন "! এটি সত্যিই বাঙ্গালী হিসাবে আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্যদার ও সন্তুষ্টির বিষয়! সারা বিশ্ব যখন খুন সন্ত্রাস ছিনতাই আর চাঁদাবাজিতে নিমজ্জিত আমাদের এই দেশকে জঙ্গি রাস্ট্র হিসাবে ট্যাগ দিতে চাইছে, ছিন্ন-ভিন্ন করতে চাইছে এদের অখন্ডতাকে, সঠিক নেতৃত্বের অভাবে দেশের মানুষ যখন এক অন্ধকার গন্তব্যের দিকে দ্রুত গতিতে ধাবিত হচ্ছে ঠিক তখনি " আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর ভিন্ন ধারার এই রাজনৈতিক দলটি তখন জাতিকে একটি আশার আলো দেখাচ্ছে, সম্ভাবনাময় এক ভবিষ্যতের কথাই বলছে। বাংলাদেশ সু-শাসন আন্দোলন নামক পলিটিক্যাল প্লাটফর্মের এই মডেলটি বিশ্বের যে কোন দেশের জন্যই শান্তি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সক্ষম! তাইতো বিশ্বের অনেক দেশই এই নতুন ধারনা বা কনসেপ্ট টি জানতে যথেষ্ট আগ্রহী। এ দলটি সম্পর্কে দেশ ও বিদেশে মানুষের যথেষ্ট কৌতুহল সৃস্টি হয়েছে। কাজেই এর কার্যক্রম সম্পর্কে দু-চারটি কথা না লিখলেই নয়। বাংলাদেশ সু-শাসন আন্দোলন এর কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবেই পরিচালিত হবে ভার্চ্যুয়াল জগতে পরিচালিত হচ্ছে। তবে প্রযুক্তি নির্ভর হাইটেক এই দলটির পরিচালনার জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রামিং তৈরির পরিকল্পনা ও কাজ চলমান রয়েছে! আমাদের সংগঠনটির ব্যাপ্তি বা বিস্তৃতি বিশ্বময়! আমরা আশাবাদী আগামী এক দশকে ভার্চুয়াল ও পার্থিব জগতে এটিই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। আমাদের সদস্য সংখ্যা হবে শত কোটির অধিক ইনশাআল্লাহ। এ সংগঠনটিতে যথাযথ মর্যদার সাথে সকল লিঙ্গের মানুষের সমান অধিকার ও অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। ধর্মান্ধ্যতা বা ধর্মিয় উগ্রবাদিতা, জাত, ধর্ম, বর্নে বিভাজনের এখানে কোন সুযোগ নাই! দলটিতে আমরা সবাই সম্মানিত কর্মি তবে শ্রম, ত্যাগ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কাউকে কাউকে নির্দিস্ট সময়ের জন্য কাউন্সিল এর মাধ্যমে বিশেষ দ্বায়িত্ব অর্পন করা হবে। বর্তমানে একটি এডহক কমিটি দ্বারা সংগঠনের প্রাথমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে সামাজিক ভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিগনকে কোন প্রকার দ্বায়িত্বশীল পদে পদায়ন করা হবে না! আমাদের সংগঠনটির মুলমন্ত্র হচ্ছে "সৎ কাজে উৎসাহিত করা এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা " এই মন্ত্রে উজ্জীবিত যে কেউই আমাদের সম্মানিত সদস্যপদ গ্রহন করতে কিংবা সমর্থক হতে পারবেন। আমাদের সদস্যপদ গ্রহনে কোন প্রকার অনুদান বা আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নাই! শুধুমাত্র একটি ফর্ম পুরনের মাধ্যমে অনলাইনে অতি সহজেই সদস্য পদ গ্রহন করতে পারবেন! তবে প্রতিটি ক্ষত্রেই নিজস্ব চ্যানেলে ব্যক্তিকে সামাজিকভাবে মুল্যায়ন করা হবে। সংগঠন পরিচালনায়ও আমাদের বড় কোন তহবিলের একদম প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশ সু-শাসন আন্দোলন একটি সার্বজনিন পলিটিক্যাল প্লাটফর্ম। এখানে ধর্ম-বর্ন জাত-বিজাত বিভাজনের কোন স্হান নেই। আমরা পরমত সহিষ্ণু একটি সামাজিক সংগঠন! আমরা ধর্মিয় স্বাধিনতায় বিশ্বাসী, তবে নিজ নিজ ধর্ম পালনে সময় অন্যের ধর্মিয় বা সামাজিক অনুভুতির প্রতি আমরা সর্বদা শ্রদ্ধাশীল থাকতে বাধ্য। ক্ষমতার আসনে অধিস্ঠিত হওয়া আমাদের মুল লক্ষ্য নয়, আমাদের মুল লক্ষ্য হচ্ছে সরকারের দূর্বলতাগুলোকে তুলে ধরে সঠিক পথে পরিচালনায় সহায়তা করা অর্থাৎ একটি প্রেসার গ্রুপ হিসাবে সরকারকে সঠিক কাজে বাধ্য করা। আমাদের উদ্দেশ্য হলো সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিস্ঠার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করা, সর্ব ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। আমরা কেনো গতানুগতিক ধারার রাজনীতি থেকে ব্যতিক্রম? কারন তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে time is money। মানুষ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে চায়! প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে রাস্তা দখল করে, যান চলাচল ব্যহত করে, জনগনকে জিম্মি করে মিটিং মিছিল এখন আর মেনে নিতে আগ্রহী নয়। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা সাধারন মানুষের জান-মালের ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে হতে পারে না, এটা কোন সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না! সাধারণ মানুষের জীবনকে জিম্মি করে বা তাদের রক্তের উপর দিয়ে হেটে ক্ষমতার মসনদে বসে আবার ফ্যাঁসিবাদী কায়দায় আবার তাদেরকে অত্যাচার করা কেউই মেনে নিচ্ছে না! তাইতো রাজনীতিবীদদের প্রতি সাধারণ মানুষের আজ আর কোন আস্হা নেই, জন্মেছে ঘৃনা! রাজনীতি এখন সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে যাওয়া একটি অসাধু পেশা মাত্র। রাজনীতিতে এই বর্তমান বাস্তবতায় এখানে আর কোন সভ্য মানুষের দেখা পাওয়া যায় না। বা তাদের অস্তিত্ব আজ সংকটাপন্ন। বাংলাদেশ সু-শাসন আন্দোলন এর কার্যক্রম যেহেতু ভার্চ্যুয়াল জগত নির্ভর, তাই আপনারা আমাদের কোন কর্মিকে পাবেন না রাস্তা ব্লক করে মিটিং মিছিলের নামে জনভোগান্তি সৃস্টি করতে, না পাবেন ইট-পাটকেল, ককটেল বা পেট্রোল বোমা ছুড়ে কোন ব্যক্তি বা সরকারি সম্পদ ধ্বংস করতে। তবে আমরা সর্বদা আছি প্রতিটি মানুষের সাথে ২৪/৭ ও ৩৬০ দিনেই। যেখানেই অনিয়ম, দূর্নীতি, দখল, ছিনতাই, চাঁদাবাজি সেখানেই আমরা, আমাদের ভার্চ্যুয়াল চোঁখ ফাঁকি দিতে পারবেনা কোন দূড়নীতিবাজ, না কোন দূস্কৃতিকারী। তাকে আইনের হাতে তুলে না দেওয়া পর্যন্ত সে আমাদের চেস্টা অব্যহত থাকবে। আমদের চেস্টা হবে পলিটিক্স কে রাজার হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে জনগনের হাতে পৌছে দেওয়া। পলিটিক্স অর্থ যে রাজনীতি নয়, জনগনের অধিকার তা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। ব্রিটিশ যাজক উইলিয়াম কেরির অভিধানের সংশোধন করতে চাই, বলতে চাই পলিটিক্স মানে জনগনের অধিকার বা সেই নীতি যা জনগনের জন্য। রাজার সাথে এই নীতির কোন সম্পর্ক নাই। কাজেই এই রাজা-প্রজার সম্পর্কের আমরা ইতি টানতে চাই। আমরা আমাদের কাজটিকে সৎ কাজের অংশ হিসাবে মানব কল্যানে কাজে লাগাতে চাই। প্রতিটি সদস্য তার নিজ নিজ পেশাগত অবস্হানে থেকে দলের জন্য কাজ করে যাবেন। এমন কি রাস্ট্রিয় ক্ষমতায় গেলেও কোন কর্মি যেন তার নিজ পেশা ছেড়ে পলিটিক্সকেই পেশা হিসাবে গ্রহন করে দূর্নীতিতে নিমজ্জিত না হন। প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমরা এক দল দেশ প্রেমিক কর্মি যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকেই বিএসএ এর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এদেশটাকে ভালোবাসি এবং এদেশের জন্য জীবনটাকে উৎসর্গ করতেও সদা সর্বদা আমরা প্রস্তুত ইনশাআল্লাহ। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একটি দল। মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় বীর, তারা জতীয় সম্পদ। দুঃজনক হলেও গতানুগতিক ধারার রাজনীতি আজ তাদেরকে বিভক্ত করছে। তথাপিও আমরা মনে করি সকল মুক্তিযোদ্ধাগন আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং তাদেরকে আমরা জাতীয় বীরের সম্মানে সন্মানিত করতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী, স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রের পাঠক শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানসহ সকল সেক্টর কমান্ডারগন এবং আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাগন জাতীয় বীর ও এ দেশের অমুল্য সম্পদ। এদের অবমাননা মুলত স্বাধীনতাকেই অস্বীকার বা অবমাননা করার সামিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা আমরা মেনে নিবো না! আমরা বিশ্বাস করি স্বাধীনতার ইতিহাস আজ সার্বজনিন সত্য, এটা নিয়ে জাতিকে বিভাজিত করে হানাহানি মোটেও কাম্য নয়। প্রিয় ভাই ও বোনেরা দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা বাংলাদেশ সু-শাসন আন্দোলন এর পক্ষ হতে আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি। গতানুগতিক ধারার হানাহানির রাজনীতি পরিহার করে একটি আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর একুশ শতাব্দীর যুগোপযোগী রাজনৈতিক ধারায় অংশ নিতে আপনাদের প্রতি উদাত্ত আহব্বান জানাচ্ছি। মহান রব আমাদের সহায় হোন।